একটি ফকিরের খয়রাতির গল্প
সম্প্রতি চীনের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্ক মুক্ত সুবিধাকে ভারতীয় মিডিয়া খয়রাতি বলে উল্লেখ করে। আসলে মূলত ভারত যে কি পরিমান খয়রাতি চলুন সেটা দেখে নেয়া যাক।
চীন বর্তমানে বাংলাদেশের ৫,১৬১ টি পণ্য সহ মোট
৮,২৬৫ টি পণ্য অর্থ্যাৎ প্রায় ৯৭% শতাংশ পণ্য জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে
তাদের বাজারে শুল্ক মুক্ত ঘোসনা করেছে।
এই খবরে ভারতের কিছু
স্বার্থেন্বেষী হলুদ মিডিয়া বন্ধু দেশের প্রতি তাদের অমর্যাদা আর ব্যার্থতা
আরেকবার মনে করিয়ে দেয়ার জন্য শিরোনাম করে চীন বাংলাদেশকে খয়রাতি
দিয়েছে।
এবার সময় এসেছে প্রকৃত খয়রাতি বা ভিখারি কোন দেশ সেটা বিচার করার।
অর্থনীতির ভাষায় কোন দেশ তার উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির সময় যদি শুল্ক মুক্ত
সুবিধা পেতেই পারে তবে তাকে খয়রাতি বলা যায় না। খয়রাতি তাকেই বলা যায় যে
দেশ অন্য কোন দেশ বা সংস্থা থেকে সরাসরি ঋণ নিয়ে থাকে।
তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক ভারতের বর্তমান ঋণের পরিমান কত।
২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ভারতের বৈদেশিক ঋণের পরিমান প্রায় ৫৬৩.৯
বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ঋণ তাদের জিডিপর ২০% এর অনেক বেশী। এই ঋণ গুলো
সাধারণত ভারত ADB, IDA, IFID ও অন্যান্য দেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে নিয়েছে।
ভারত মাল্টিল্যাটারাল উৎস থেকে ঋণ নিয়েছে ৬০.২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
IMF এর রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের অভ্যন্তরীন ও বৈদেশিক মিলিয়ে মোট ঋণ তাদের জিডিপির ৭৩.৮০% ।
এ বিশাল সংখ্যক ঋণের বিপরীতে ভারতের রিজার্বে আছে মাত্র ৫০৭.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তাও সেটা স্বর্ণ রিজার্ভ সহ।
এখন বাংলাদেশের ঋণের শতাংশ একটু দেখা যাক। মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের যে
ঋণ তার জিডিপির ২০% এরও কম। ভারতের রিজার্ভ বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশী কিন্তু
যদি ভারতের মাথা পিছু রিজার্ভ হিসেব করে বাংলাদেশের সাথে তুলনা করা হয় তবে
সে রিজার্ভ খুবই নগন্য ভারতের।
বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক সূচকে
ভারতের থেকে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। যেমন, গড়আয়ু , মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার
নিয়ন্ত্রন, জন্ম নিয়ন্ত্রন, স্যানিটেশন ব্যবস্থা, নারীশিক্ষার হার সহ আরো
বেশ কিছু সূচকে।
এত কিছুর পরও তারা বাংলাদেশের পেছনে পরে আছে। তারা
এটা চিন্তা করে না যে দক্ষিণ এশিয়া না শুধু পুরো পৃথিবীতে শুধু বাংলাদেশ
ছাড়া আর কেউ তাদের পাশে নেই। ছোট্ট দেশ নেপালও এখন তাদের গুলি করে মারে।
অথচ যারা তাদের সহ্য করে তাদের কেই তারা হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা
চালায়। বাংলাদেশ ও তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে তাদের একঘোরে হওয়া ছাড়া
তাদের কোন পথই নেই সেটাও ভাবে না তারা।
নিজে ফকির হয়ে যদি আরেকজন কে ফকির বলতে যান তবে আপনার মানটা কোথায় থাকবে বলুন তো! বর্তমানে ভারতের ঠিক সেই দশাই হয়েছে।
চোরের মায়ের নাহ ফকিরের মায়ের বড়গলা এই কথাটাই বলতে হয় এখন।
বেশ বলেছেন । তথ্য গুলো ভালো ছিলো ।
ReplyDelete